বাতাস কেটে কেটে এগুচ্ছে বাস। সাসা শব্দ হচ্ছে। দুই দিকে কলাবাগান আর শীতকালীন শস্যক্ষেত। গজারিয়া, কিশোরফঞ্জ৷ অপ্রসস্থ রাস্তার দুইপাশে গ্রামীণ জনপদ।
বাজিতপুর বাজারে বাস থামলো। স্থানীয় বাজারে টাটকা শস্য। লাল টকটকে গোলাকার টমেটোর সাথেই পাতাকপি আর ডায়মন্ড আলু রাখা। বাজারে অজস্র মানুষ। যতদুর চোখ যাচ্ছে, সমতল ফসলের মাঠ। বিস্তির্ণ আকাশের নিচে একখন্ড হলুদ চাদরের মত সরিসা ক্ষেত, কপি, লাউয়ের মাচা, উত্তরী হাওয়ায় তিরতির করে দুলছে লাউ।
কুলিয়ারচর বাজারে অল্প বয়েসী বটবৃক্ষকে পাশ কাটিয়ে চলেছে বাস। ধানের বীজতলা দেখা যাচ্ছে পথের দুই ধার ঘেষে। গাড়িতে দুজন হকার উঠেছে। একজন মালা বিক্রি করছে। বিভিন্ন ভাবে সে একটি কথাই বলছে, "দুই পিস ৯০ টাকা।" মালা ভাল দেখাচ্ছে না।
বিশাল সবুজ গম্বুজধারী একটা চমৎকার মসজিদ। বাস দ্রুতুই পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
শীতল বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ বাজছে কানে৷
সময় যত যাচ্ছে নাহিদা মায়ের পায়ের কাছে চলে আসছি আমি। আমার ভাল লাগছে।
কুলিয়ারচর জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণশৈলী চমৎকার। ব্রিটিশ ঢং এ দাঁড়িয়ে আছে।
আবার দুইজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এসে ভদ্র ভঙ্গিতে টাকা চাইলো। দুইবারেই তাদেরকে ১০ টাকা করে দিতে হলো। পুরুষালি গঠনের তবে নারীর মত সজ্জায় তারা আসে। কণ্ঠস্বরেও থাকে দৈততা।
এবার রেললাইনের দেখা পেলাম। রাস্যার সমান্তরালে চলছে রেলপথ। ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ এলাকা। ব্রিটিশ ঢংের একটি ছোট রেলসেতু, অগণিত হলুদ সবুজ সরিসার খেত পার হচ্ছি৷ রোদেলা আকাশ। যতদুর চোখ যায়, হলুদের প্রান্তর। এই দৃষ্য ভাষায় প্রকাশের মত নয়।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।