লেখকঃ মুফতী ইবরাহীম হেলাল দা.বা.
হামদ ও সালাতের পর... আদর্শ শিক্ষকের পরিচয় হলো- যে শিক্ষক তার নিবিড় অধ্যয়ন,গভীর অধ্যাবসায়, অনন্য পাঠদান, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, সুন্নাতের অনুসরণ, স্বচ্ছ লেনদেন, আকর্ষণীয় আচরণ ও উন্নত নৈতিকতার গুণে ছাত্রদের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে পারেন এবং উক্ত গুণাবলীর ভিত্তিতে তাদের কাছে হয়ে উঠেন আদর্শ, অনু সরণীয় ও অনু করণীয়- এক কথায় এমন ব্যক্তিকেই আদর্শ শিক্ষক বলা যায়। অর্থাৎ যার ইলমী ইনহিমাক ও অধ্যয়ন-একাগ্রতা দেখে ছাত্ররা অধ্যয়ন-মনস্ক হয়ে উঠে, যার পাঠদান ও নিয়মানুবর্তিতা লক্ষ্য করে ছাত্ররা ইলমের বাহক হওয়ার প্রেরণা লাভ করে, যার আমল-আখলাক ও নৈতিকতার মাঝে তারা একজন নায়েবে নবীকে খুজে পায় এবং নিজেরাও স্বতঃস্ফূর্ত ওরকম হওয়ার চেষ্টা করে এমন শিক্ষক হলেন আদর্শ শিক্ষক। শিক্ষককে বলে দিতে হবে না যে, ছাত্ররা কোনটা করবে আর কোনটা করবে না। তারা উস্তাদের নকল ও হরকত দেখেই বুঝতে পারবে তাদের কোনটা করা উচিত আর কোনটা নয়। মূলত ছাত্ররা অনুকরণপ্রিয় হয়। তারা উস্তাদকে দেখে দেখে শিখে। ভালো-মন্দ সবটাই। পক্ষান্তরে উস্তাদ যদি শুধু নসীহত করে যে, এটা করো ওটা করো না, কিন্তু নিজে ওসব নসীহতের ধার ধারে না কিংবা শুধু ছাত্রদেরকে সুন্নাতের তাগিদ দেয়, নিজে সুন্নাতের পাবন্দী করে না; ছাত্রদের জামা'আতে নামায আদায়ের ব্যাপারে কঠোরতা করে আর নিজে জামা'আত ছেড়ে দেয়- এমন শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক বলা যায় না। এভাবে ছাত্রও গড়ে উঠে না। এজন্য ছাত্রদের মধ্যে উস্তাদ যেসব গুণ কামনা করে উস্তাদকে প্রথমে সেগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়। তারপর সেটা ছাত্রদের মধ্যে প্রতিফলিত হতে থাকে। মোটকথা, আদর্শ শিক্ষক হতে হলে সর্বপ্রথম নিজের দায়িত্ব ও গুণাবলী সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।দরসের এহতেমামছাত্রদের অনুগত করা ও বশে রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সবচেয়ে বড় উপায় হল, তাদেরকে কিতাবাদি ভালভাবে বুঝিয়ে দেয়া। কিতাবাদি আত্মস্থ করিয়ে দেয়া হলে ছাত্ররা অনুগত ও বাধ্য হয়। পক্ষান্তরে পাঠদান যদি দায়সারা গোছের হয় এবং কোনও মতে কেবল দায়িত্ব পালন করা হয়, আর ওয়াজ-নসিহত করা হয় খুব বেশী, তো এরকম শিক্ষকদেরকে ছাত্ররা অতটা মহব্বত করে না। এরা ছাত্রদের কাছে অতটা শ্রদ্ধার পাত্র হয় না।এজন্য দরসের এহতেমাম করা চাই। দায়িত্বের সাথে নিয়মিত সবক গ্রহণ, ও সবক প্রদান করা চাই। কিতাবের স্তর, মান, ও দাবী অনুযায়ী পড়াগুলো সুন্দরতম তারতীব ও বিন্যাসে যদি উপস্থাপন করা হয়, যেন মনে হয় উস্তাদ কথাগুলো তার হৃদয়ের গভীর থেকে বলছেন তাহলে দরসের বাইরেও তিনি ছাত্রদের হৃদয়ে জায়গা করে নিবেন। ছাত্ররা তাকে অনুসরণ করে চলবে এবং তাকে অনুকরণের চেষ্টা করবে। পক্ষান্তরে দরসের যথাযথ এহতেমাম নেই, ভালমতো পড়ায় না, বোঝায় না, তো এমন উস্তাদ যদি ছাত্রদের সাথে ভাল আচরণও করে তবুও ছাত্ররা তাকে দিল থেকে মানতে চায় না বা মানতে পারে না। বলছিলাম, ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ করা, ভক্ত ও অনুসারী বানানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হল দরসের এহতেমাম। আর ভালভাবে উপস্থাপন করতে হলে গভীর মুতালাআর বিকল্প নেই। মুতালাআ ভাসা ভাসা হলে ছাত্রদেরকে কীভাবে বোঝাবে? সর্বাত্মক চেষ্টার পরও যদি ছাত্ররা না বুঝে তাহলে দরসের বাইরে আসরের পর কিংবা রাত দশটার পর বিশেষভাবে মেহনত করতে হবে। প্রধান কিতাবগুলোর জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বারবার মুজাকারা করতে হবে। এভাবে মেহনত করলে ছাত্ররা আকর্ষিত হবেই।নিজেকে দ্বীনী তা'লিমের সাথে সম্পৃক্ত করা জরুরী কিছু ফুযালা এমন আছেন যারা দরস ও তাদরীসের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ইমামতি ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোন পেশায় নিরত আছেন। তাদের ব্যাপারে পরামর্শ হলো, তারা যেন কুরআন সুন্নাহর সরাসরি খেদমত থেকে একেবারেই বঞ্চিত না থাকেন। এটা সামান্য একটু হিম্মতের ব্যাপার। ইচ্ছা করলেই নিজের ছেলে-মেয়ে, ভাই- ভাতিজা, বোন-ভাতিজীকে সকাল- বিকাল নির্দিষ্ট সময়ে কুরআনে কারীম শেখাতে পারেন। আত্নীয়-স্বজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সন্তানাদিকেও এ তা'লীমে শরীক করতে পারেন। এটা অনেক বড় একটা খিদমত। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না বলে দরস ও তাদরীস থেকে বিলকুল বঞ্চিত থাকব এটা হতে পারে না। নিজের অন্যান্য কাজের জন্য যেভাবে সময় বের করেন এর জন্যও সেভাবে একটু সময় বের করবেন। ইয়াকীন রাখুন, এতে দীনের অনেক ফায়দা হবে। এসব শিক্ষার্থীদেরকে কায়দা, আমপারা কুরআনে কারীম শিখাবেন। দু-চারটি করে জরুরী মাসাআলা-মাসাইল শেখাবেন। মাঝে-মধ্যে একটু ওয়াজ-নসিহতও করবেন। এই ক্ষুদে শিক্ষার্থী একদিন বড় হবে। দুনিয়াবী বিভিন্ন পদ ও পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে। তো এদের অন্তরে যদি কচি বয়সেই কুরআনের বীজ বপন করা যায়, মাসাআলা-মাসাইল অনুযায়ী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করা যায়, তাহলে ভেবে দেখুন, এটা কত বিরাট ব্যাপার হবে ইনশাআল্লাহ।মোটকথা, যারা সরাসরি দ্বীনের খিদমতে রত নয় তারা প্রথমতঃ কোন মাদরাসায় অন্তত ২/৩ টি সবকের সুযোগ করে নিতে চেষ্টা করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, দায়িত্ব নিলে সেটা যেন গুরুত্বের সাথেই পালন করা হয়। তা না হলে এর প্রয়োজন নেই। দ্বিতীয়তঃ অনিয়মিত মুদাররিস হওয়ার সুযোগ না পেলে নিজ বাসা বাড়িতে বা মহল্লার মসজিদে কাজে বেরোনোর আগে বা কাজ থেকে ফিরে ২/৩ ঘণ্টা করে কুরআন-হাদীসের দরসের ব্যবস্থা করবে।লেনদেনে যেন ত্রুটি না থাকেছাত্রদের সাথে মু'আমালা ও লেনদেনে যেন কোনও ত্রুটি না থাকে। দেখা যায় ছাত্রদের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে, দেয়ার নাম নেই। ছাত্রদের দিয়ে নাস্তা আনাচ্ছে টাকা দেয়ার খবর নেই। এটা উস্তাদের বদনামের কারণ। চেষ্টা করবে ছাত্রদের সাথে যেন লেনদেনই না হয়, হলেও দ্রুততম সময়ে তা আদায়ে থাকবে। অন্যথায় এভাবে দু চারদিন হয়ত চলবে তারপর দেখা যাবে এসব ব্যাপারে ছাত্ররা আর সাড়া দিচ্ছে না; অগোচরে সমালোচনা করছে। আপনার খেদমত করতে গিয়ে কোনও ছাত্র আপনার কোনও জিনিস নষ্ট করে ফেলল। জগ, গ্লাস, বরতন ভেঙ্গে ফেলল। আর আপনি এমন রেগে গেলেন যে, ছাত্রটি কিনে দিতে বাধ্য হল। কিংবা বলা হল যে, এটা তাকে কিনে দিতে হবে। এটা উস্তাদের আদর্শ নয়। সে খেদমত করছে এ-ই তো অনেক। তাছাড়া ইচ্ছা করে তো কেউ উস্তাদের জিনিস নষ্ট করে না। এক্ষেত্রে সঠিক আচরণ হল, নষ্ট করা জিনিস যদি ছাত্র কিনেও নিয়ে আসে তাহলে তাকে তার ক্রয়মূল্য পরিশোধ করে দেওয়া এবং তাকে স্নেহের সাথে বুঝিয়ে দেয়া যে, খেদমত করতে গেলে মাঝে মধ্যে এমন হয়ে যায়, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সুতরাং জিজ্ঞেস না করে এভাবে তার কিনে আনা উচিত হয়নি। তারপর এই ছাত্রটি যখন শিক্ষক হবে তখন সেও তার ছাত্রদের সাথে অনুরূপ কোমল আচরণ করবে। পক্ষান্তরে খাদেম ছাত্রটিকে যদি নষ্টকৃত জিনিসের ভর্তুকি দিতে হয়, তাহলে শিক্ষক হওয়ার পর সেও এই কারবার করবে। শুধু ছাত্রই নয় সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান পরিচালক ও কমিটির সদস্যদের সাথেও লেনদেন স্বচ্ছ রাখতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে লেনদেন করলে যথাসময়ে তা সাফ করতে হবে। কিন্তু ঋণ গ্রহণ করে যথাসময়ে যদি তা পরিশোধে সচেষ্ট না হয়, তাহলে ঘটনা খারাপ দিকে মোড় নিবে। উস্তাদের বদনাম হয়ে যাবে। এজন্য আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করতে হবে। আয়- ব্যয়ে সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। ডাল- ভাতের সামর্থ্য থাকলে ডাল-ভাতই খাবেন; মাছ-গোশতের দরকার নেই। দুনিয়ার যিন্দেগী আর কয় দিনের! আরাম-আয়েশটুকু আখেরাতের জন্য সঞ্চিত রাখুন। ধরুন, আপনার মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকা। তাহলে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের মধ্যে সংসারব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করুন। আর বাকিটা আপদকালীন সময়ের জন্য জমা রাখুন। কারণ, অসুখ- বিসুখ, বিপদাপদ বলে কয়ে আসে না। আমার আয় হল পাঁচ হাজার আর ব্যয় করি সাত হাজার তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। আয়ের হিসাব করে তারপর ব্যয় করতে হয়। জীবন কষ্টে-সুখে কেটে যাক কিন্তু ঋণের বোঝা যাতে মাথায় না থাকে। মানুষের কাছে আমার পাওনা থাকতে পারে, আমার কাছে যেন কেউ না পায়। ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে কবরে যাওয়া তো ভালো কথা নয়। মোটকথা, লেনদেন আর আয়-ব্যয়ের বিষয়টি খুব খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আচরণ থেকে ছাত্ররা শিখবে; ভালো-মন্দ সবটাই।মুআশারাতের প্রতি লক্ষ্য রাখাচাল-চলন ও আচার ব্যবহার যেন রুক্ষ ও কর্কশ না হয়। ছাত্ররা এসব হজম করতে পারে না। ছাত্রদের সাথে হাসি- খুশি থাকুন। তাদেরকেও সালাম দিন। তারা সালাম দিলে হাসিমুখে উত্তর দিন। হযরত সালাহুদ্দীন সাহেব রহ. (লালবাগ মাদরাসার মরহুম উস্তাদ) কে দেখেছি, ছাত্ররা তাকে সালাম দিলে ওয়ালাইকুমুস সালাম বলে মিষ্টি করে হাসতেন। এতে সালামদাতা ছাত্রটি খুশি হতো। উস্তাদের চলা-ফেরা উঠা-বসা সুন্নাত মোতাবেক হওয়া চাই। আপনার আমল দেখে ছাত্ররা আমল শিখবে। আপনার আখলাক দেখে ছাত্ররা চরিত্রবান হবে।প্রয়োজনে ছাত্রদের শাস্তি দিতে হলে তারও কিছু নিয়মনীতি আছে। আজকাল তো শাস্তি দেয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে। একই ধরণের অপরাধে যদি বিত্তহীন লোকের ছেলেকে মারধোর করা হয়, আর বিত্তবানের ছেলের প্রতি কঠোরতা না করা হয় তাহলে ছাত্রদের মধ্যে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। গরীব ছেলেটি ভাববে, হুযুর তাকে এক নজরে দেখলেন আর আমাকে দেখলেন ভিন্ন নজরে। যদি একই ধরনের অপরাধে শাস্তি লঘু করতে হয় কিংবা ছাড় দিতে হয় তবে সবাইকেই ছাড় দিবে। কারও প্রতি শিথিলতা করা হলো আর কারও সাথে কঠোরতা, এটা সাধারণতঃ ভালো চোখে দেখা হয় না। ছাত্রদেরকে মন্দ আখ্যায় সম্বোধন করা উদাহরণতঃ গরু-ছাগল- গাধা বলে তিরস্কার করা বিলকুল ঠিক নয়। এতে ছাত্রদের মধ্যে মন্দ আছর পড়ে। মক্তব, নাজেরা, হিফজখানা ও নীচের জামা'আতের ছাত্রদেরকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করা ভালো। ছাত্রদেরকে তুই তোকারী করা উচিত নয়। এতে তারা মনে মনে ব্যথিত হয়। এসব শব্দ মানুষের কাছে ভারী মনে হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে 'আপনি' এর পরিবর্তে 'তুমি' বলা যেতে পারে। চাই ছাত্রটি দাওরা, ইফতা যে কোনও শ্রেণীরই হোক। অনেক সময় ছাত্রদের পিতৃ নাম বা পিতৃ পেশা উল্লেখ করে ডাকা হয়। যেমন 'অ্যাই অমুকের ছেলে, এদিকে আয়!' কিংবা ঐ জোলারপুত, দালালের পুত ইত্যাদি। কোন তালিবুল ইলমকে এভাবে ডাকা সুস্থরুচির পরিচায়ক নয়। জাত্যাভিমানী কোন কোন ছাত্র তো শুধু এসব কারণেই মাদরাসা ছেড়ে দেয়। আর স্বয়ং উস্তাদই এর কারণ হয়। আল্লাহর পানাহ!উত্তম চরিত্র-সমুন্নত আখলাক উত্তম চরিত্র ও উন্নত নৈতিকতা শিক্ষকের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আখলাক-চরিত্রে আঁচড় লাগে এমন সকল বিষয়াদি সর্বতোভাবে পরিহার করতে হবে। নিজের খিদমত নিজে করাই উত্তম ও বাঞ্চনীয়। একান্ত অপারগতায় খিদমতের জন্য এমন ছাত্রকে নিয়োগ দিবে যাতে অপবাদের কারণ না হয়। খিদমতের জন্য দাড়ি গজিয়েছে এমন ছেলেকে নিয়োগ করুন। শুধু মাত্র সুশ্ৰী ছাত্রদের দিয়েই খিদমত নিচ্ছেন, কাজের জন্য কেবল তাদেরকেই ডাকছেন এটা অপবাদের সুযোগ করে দিবে। এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। দাড়িবিহীন ছাত্রদের দ্বারা শারীরিক খিদমত (হাত পা দাবানো) নেয়াতো বিলকুল হারাম। দরস-তাদরীসের ত্রুটি-দুর্বলতা অনেক সময় ছাত্ররা এড়িয়ে যায়, কিন্তু আখলাকের ত্রুটি সহ্য করে না। এটা সহ্য করার মতও নয়। তাছাড়া সব ছাত্রই যে উস্তাদের ভক্ত হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। কাজেই ত্রুটি তো দূরের কথা, সামান্য সন্দেহ সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডও পরিহার করবে। মানুষের চরিত্রের দিকটিই কিন্তু সর্বাপেক্ষা বড়। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে, কেউ যেন আপনার আখলাকী কোন ত্রুটি বের করতে না পারে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।