০১... লেখক হিসেবে ওই দৃশ্যের প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখুন। কোন কারণ ছাড়া কোন দৃশ্য তৈরি করবেন না। একটা দৃশ্য তার পূর্বের দৃশ্যের এবং পরের দৃশ্যের লিংক হিসেবে কাজ করে। সুতরাং সেটা মাথায় রেখেই দৃশ্যটি তৈরি করুন।
০২... দৃশ্যের শুরুতে চরিত্রগুলোর যে অনুভূতি থাকবে, দৃশ্যের শেষে তার বিপরীত বা ভিন্নরকম অনুভূতি তৈরি হবে।
০৩... দৃশ্যের মাঝখানে কোন চরিত্র একটা চমকানো তথ্য দেবে যার কারণে পুরো পরিস্থিতি ঘুরে যাবে। দর্শকও এই তথ্য জেনে অবাক হয়ে যাবে। প্রতিটি দৃশ্যের জন্য একটা চমক সৃষ্টিকারী তথ্য তৈরি করতে হবে।
০৪... প্রতিটি চরিত্রের অনুভূতি পরিবর্তন হবে। দৃশ্যের প্রথমে যে অনুভূতি থাকবে দৃশ্যের মাঝখানে একটা চমকানো তথ্যের কারণে সেটা আমূল বদলে যাবে।
০৫... প্রতিটি চরিত্রের সংলাপ হবে ভিন্নরকম। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন আঞ্চলিক সংলাপ হতে পারে। তবে একই রকম ভাষা হলেও কথা বলার ধরণ ভিন্ন রকম রাখতে হবে। চরিত্রের চিন্তা করার ধরণটা আলাদা করে দিলে সংলাপ আলাদা হতে বাধ্য।
০৬... একই বিষয়ে বিভিন্ন চরিত্রের দৃষ্টিভঙ্গি বা আগ্রহ ভিন্ন রকম হবে। কেউ একটা বিষয়কে পছন্দ করবে, কিন্তু অপর জন বিরক্ত বা নিরাসক্ত থাকতে পারে। মানে চরিত্রগুলো একই রকম হবে না।
০৭... চরিত্রের ভিন্নতা তৈরির জন্য বয়সের পার্থক্য, লিঙ্গের পার্থক্য, শিার পার্থক্য, পেশার পার্থক্য, ধর্ম বিশ্বাসের পার্থক্য, রুচির পার্থক্য ইত্যাদি পার্থক্য দিয়ে রাখেন। তাতে করে চরিত্রগুলো বৈচিত্র্যময় মনে হবে। এটাকে বলা হয় কালার অব ক্যারেকটারাইজেশন।
০৮... সব দৃশ্যে সংলাপ নাও থাকতে পারে। কোন না কোন দৃশ্য মিউট রাখুন।
০৯... একই স্থানের জন্য পর পর অনেকগুলো দৃশ্য তৈরি করবেন না। মাঝখানে একটা দৃশ্য ভিন্ন স্থানে তৈরি করুন। তাতে করে বৈচিত্র্য তৈরি হবে, এক ঘেয়েমি লাগবে না।
১০... দৃশ্যগুলো এমনভাবে পর পর সাজান যাতে করে গল্পের স্রোত কোথাও বাধাপ্রাপ্ত না হয়। যদি কোন দৃশ্য গল্পের স্রোতকে বাধাগ্রস্ত করে, নির্দ্বিধায় সেই দৃশ্য বাদ দিন।
শাহজাহান শামীম
(চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক)
০১৬৮২৩০৩৩১৯, ০১৯১২৫৭৭১৮৭
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।