আমি তখন হয়তো ক্লাস ওয়ানে বা স্কুলে ভর্তিও হইনি।
নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি। মামা গফরগাঁও হতে সাইকেলে করে শহীদনগর আসলেন।
দুয়েক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে আসতেন,গায়ে ১ লেখা থাকতো। বাড়ির সব বাচ্চারা খেতো। আনন্দ বইতো সারা বাড়ি জুড়ে...
আমি নানুকে বললাম,নানু মামাকে পাঞ্জাবি পরলে অনেক সুন্দর লাগে,আমাকেও বলো না পাঞ্জাবি বানিয়ে দিতে...!
নানু বললেন,মামা তো চলে গেলো...
ডাক দিয়ে বলো।
আমি লাজুক ছোট থেকেই... তারপরও আলতু স্বরে ডাক দিয়ে বললাম, মামা আমার জন্য পাঞ্জাবি পায়জামা বানিয়ে দিয়েন।
দেখলাম মামা সাইকেলে চড়ে প্যাডেল দিতে লাগলেন,পেছন ফিরে তাকান নাই। মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
সপ্তাহ খানেকপর হঠাৎ দেখি মামা আমাদের গ্রামের বাড়িতে হাজির!
সাথে পাঞ্জাবি পায়জামা বানিয়ে নিয়ে আসছেন।
আর হাসতে হাসতে বললেন,আমার একমাত্র ভাগিনা পায়জামা পাঞ্জাবির কথা বলেছে এটা শুনে আমি এত খুশি হয়েছি যে,ঐদিনই গিয়ে পাঞ্জাবি বানাতে দিয়েছি।
আমার কানে এখনও সেই আওয়াজ ভাসে...
হয়তো সেই ওসিলায়ই আবার দ্বীনের পথে এসেছি।
জামাটা একটু বড় হয়েছিলো..পরদিন মকতবে পরে গিয়েছি,সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।....
আল্লাহ মামাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
মুফতি আবু হানিফার প্রোফাইল থেকে
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।