সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ভবঘুরে হবার উপায়

 "যদহরেব বিরজেৎ তদহরেব প্রব্রজেৎ'' ( যেদিন মন চায় বেরিয়ে পড়ুন)
হঠাৎ এক অচেনা লোকের আবিষ্কার গ্রামে। এর ঘরে, ওর ঘরে, সরাইখানায় থাকছেন, মাঝে মাঝে গ্রামের মানুষের ছবি একে দিচ্ছেন, কিছু টাকা পয়সাও উপার্জন হচ্ছে তাতে। আবার হঠাৎই দেখা গেলো উনি আর নেই। একসময় প্রচুর দেখা যেতো এমন লোক। কিন্তু এখন তেমন দেখা যায় না। এরাই ভবঘুরে, এরাই সভ্যতা পরিবর্তনের কারিগর।

পুরাকালের মুনি ঋষি থেকে শুরু করে গৌতম বুদ্ধ,ভাস্কো দা গামা, কলম্বাস, ইবনে বতুতা এরা তো ভবঘুরেই ছিলেন। কে কবে ঘরে বসে পৃথিবী পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতে পারে? পৃথিবীতে ধর্মপ্রচার , নতুন নতুন জায়গার আবিষ্কার তো ভবঘুরেদের কারণেই হয়েছে।

ভবঘুরে হওয়ার সবচেয়ে মোক্ষম বয়স হলো ১৮-২৫ বছর। এরমধ্যেই কিছুটা লেখাপড়াও হয়ে যাবে। কারণ লেখাপড়া ছাড়া ভবঘুরে হলে বরং বিপদ বেশি হতে পারে। সাথে একটা বা দুইটা নতুন ভাষা শিখে নিলে ভালো হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো হাতের কাজ শিখে নেওয়া যেমন, সাইকেল সারানো, গাড়ির ইঞ্জিনের ছোটখাটো কাজ, ছবি আকতে পারা, রান্নার কাজ পারা( বিপদে পড়লে বাবুর্চি ), ঘড়ি ঠিক করার বিদ্যা কিংবা হোমিওপ্যাথি বিদ্যা। এই বিদ্যা গুলো থাকলে অন্তত আপনাকে না খেয়ে উপোস করতে হবে না।

ভবঘুরেরাই পৃথিবীর আনাচকানাচ আবিষ্কার করেছে। ভবঘুরেরাই পৃথিবীর ইতিহাস লিখেন। যে জাতি যতবেশি ঘরকুনো সে জাতি তত তাড়াতাড়ি পৃথিবীর পাতা থেকে হারিয়ে যায়।

--প্রসেনজিৎ মজুমদার

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ